সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
৫ সহস্রাধিক বারকি শ্রমিক বেকার: ছাতকে চেলা নদী বালু মহালে বেপরোয়া চাঁদাবাজি চলছে

৫ সহস্রাধিক বারকি শ্রমিক বেকার: ছাতকে চেলা নদী বালু মহালে বেপরোয়া চাঁদাবাজি চলছে

চান মিয়া, নিজস্ব প্রতিবেদক (সুনামগঞ্জ): ছাতকে ৩টি উপজেলা প্রশাসনের ইজারার নামে চেলা ও মরাচেলা বালু মহালে প্রতি ঘনফুটে জোরপূর্বক ৩ গুণ রয়্যালিটি আদায়ের পরও টোকেনের মাধ্যমে চলছে বেপরোয়া চাদাঁবাজি। এসব চাঁদাবাজির টাকা বিভিন্ন হাত হয়ে জেলা-উপজেলা, বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসন, এসিল্যান্ড, তহশীলদার, জনপ্রতিনিধি, দালাল, মাস্তান, স্থানীয় প্রভাবশালী ও পুলিশ-বিজিবির ক্রিমিনাল সোর্সদের পকেটে চলে যাচ্ছে। ছাতক, কোম্পানীগঞ্জ ও দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রশাসনের নামে এ চাঁদাবাজি চলছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, ছাতক বাজার একতা বালু উত্তোলন ও সরবরাহকারি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি সমবায় সমিতি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে ১৪২৩ বাংলায় এক লিখিত আবেদনে ১৪২৪ বাংলার জন্যে চেলা নদী বালুমহাল ইজারা দেয়ার আগে ৫ দফা দাবিনামা পেশ করেন। ৫ দফার মধ্যে প্রতি ঘনফুট বালুর রয়্যালিটি ৩০ পয়সা নির্ধারণ, একই নদীতে রয়্যালিটি আদায় করা সত্বেও পৃথক ৩টি উপজেলা ট্যাক্স বাতিল, শ্রমিকের নিরাপত্তায় নদীতে সর্বদা পুলিশী টহল জোরদার ও বালু উত্তোলন নীতি তৈরির দাবি করা হয়। কিন্তু ১৪২৪ বাংলার ইজারা ক্ষেত্রে শ্রমিকের এসব দাবির প্রতি কোন তোয়াক্কা করা হয়নি। এরপরও অতিরিক্ত রয়্যালিটি আদায় ও অবৈধ ট্যাক্স আদায় অব্যাহত থাকলে এসব বন্ধের জন্যে পূনরায় জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করা হয়। জেলা প্রশাসন থেকে কোন সূরাহা না হওয়ায় একতা বালু উত্তোলনকারি সমিতির নেতৃবৃন্দ মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট আবেদনের জন্যে আদালতের শরনাপন্ন হয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে উকিল নোটিশ প্রেরণ করেন। এ উকিল নোটিশের প্রেক্ষিতে ২৪ আগস্ট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সমিতির নেতৃবৃন্দ সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের (এসএ শাখার) স্মারক নং-০৫.৪৬.৯০০০.০৮.০০১.০২৯.১২-২৬৭২(৪) তাং ৩১.০৮.২০১৭ইং মূলে চেলা নদী ও মরাচেলা নদী বালু মহালে রয়্যালিটির হার নিধারণও অবৈধ ট্যাক্স আদায় বন্ধ করণের জন্যে ছাতক ও দোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অতি জরুরী ভিত্তিতে সভা আহবান করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সূপারকে অবহিত করার জন্যে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু অতিরক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাবেরা আক্তার স্বাক্ষরিত নির্দেশ নামার একমাস পরও এ ব্যাপারে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এখনো প্রতি ঘনফুট বালুর রয়্যালিটি ৩০ পয়সার স্থলে জোরপূর্বক ১টাকা ও ৩টি উপজেলার নামে প্রতি ট্রিপে নৌকা থেকে ৮০ থেকে ১শ’ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
এদিকে গত আগস্ট থেকে চেলা নদীর ইজারাদার জাকির হোসেন ইজারা চুক্তি ভঙ্গ করে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। এতে চেলা নদী ভিত্তিক প্রায় ৫ সহ¯্রাধিক বারকি শ্রমিক বেকার হওয়ার আশংকায় তাদের মধ্যে চরম অসন্তুাষ বিরাজ করছে। বালু উত্তোলনে অবৈধ ড্রেজার বন্ধের দাবিতে ছাতক এসিল্যান্ডের কাছে একতা বালু সমিতির পক্ষে সভাপতি মো. আব্দুস সাত্তার এক লিখিত আবদেন করলেও রহস্যজনক কারণে এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ বালু মহালে প্রত্যহ হাজার হাজার দিনমজুর বারকি শ্রমিক বালতি দিয়ে বালু উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। অবিলম্বে চেলা নদী বালু মহাল থেকে সব দূর্বৃত্তায়ন বন্ধে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামণা করছেন সমিতির শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাসির উল্লাহ খান শীঘ্রই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com